ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

শওকত আলীর অবস্থার উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট খোলা হবে 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০৯, ৮ জানুয়ারি ২০১৮

কালজয়ী কথাসাহিত্যিক শওকত আলীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে মঙ্গলবার সকালে লাইফ সাপোর্ট খোলা হতে পারে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চিকিৎসক সমীরণ কুমার সাহা।

গত বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় লেখককে রাজধানীর ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন থেকেই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার ভোর ৫টায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরির্চযা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

ডা. সমীরণ কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শওকত আলীর কিডনি, হার্ট ও ফুসফুসে সমস্যা আছে। রক্তে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যার মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। কয়েক দিন আগে স্ট্রোক করায় তার মস্তিষ্ক যথাযথ ভাবে  কাজ করছে না। তাকে এখনো পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

শওকত আলীর বড় ছেলে আরিফ শওকত প্রল্লব ইটিভি অনলাইনকে জানান, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা এখনো ক্রিটিকাল পর্যায়ে রয়েছে। ভালো সময়ের অপেক্ষায় আছি আমরা। বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে, আগামীকাল বাবা আর্টিফিসিয়াল ভেন্টিলেশন ছাড়া নিজে থেকেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারবেন। তবে এখনো তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। আল্লাহকে স্মরণ করা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই।’

কথাসাহিত্যিক শওকত আলী ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলার থানা শহর রায়গঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও পরে শিক্ষকতায় যোগ দেন তিনি।

ছোটবেলা থেকে লেখালেখি শুরু করলেও তাঁর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ‘নতুন সাহিত্য’ পত্রিকায়। এ ছাড়া দৈনিক মিল্লাত,সমকাল ও ইত্তেফাকে তাঁর বহু রচনা প্রকাশিত হয়।‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’,‘দক্ষিণায়নের দিন’,‘উত্তরের খেপ’,‘উন্মুল বাসনা’,‘শুন হে লখিন্দর’ প্রভৃতি শওকত আলীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য কালজয়ী এ লেখককে ১৯৯০ সালে একুশে পদকসহ বাংলা একাডেমি পুরস্কার, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, অজিত গুহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা পান তিনি।

কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি